সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:১১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সাদিক আব্দুল্লাহ

dynamic-sidebar

খবর বরিশাল ডেস্ক ॥ নির্বাচন কমিশন বাতিল করলেও উচ্চ আদালতে আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

সোমবার বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সাদিকের রিট শুনানি শেষে প্রার্থিতা বৈধতার আদেশ দেন।

এর ফলে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়রের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনো বাধা থাকলো না।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক আবদুল্লাহ। বরিশাল সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত আসনটিতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

দলের প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়ন বৈধও করেন। কিন্তু জটিলতা বাধে পরে।

সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন জাহিদ ফারুক। তার অভিযোগ, সাদিক আবদুল্লাহর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং হলফনামায় তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এদিকে জাহিদ ফারুকেরও প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন সাদিক আবদুল্লাহ।

তবে শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর সিইসির নেতৃত্বে অন্যান্য কমিশনাররা সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। টিকে থাকে জাহিদ ফারুকের মনোনয়নপত্র।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সাদিক। অবশেষে প্রতীক বরাদ্দের দিন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন তিনি।

সাদিক ফিরে আসায় বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাদিকের পরিবারের সদস্যরা বরিশালের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় নৌকা ও স্বতন্ত্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই গতে পারে।

ভোটের শুরুতেই আসনটিতে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে চলে গেছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি সাদিকের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

আর নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র ও সাদিকের চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।

গত জুনে অনুষ্ঠিত হওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন সাদিক আব্দুল্লাহ। এর আগে নৌকার মনোনয়নে বরিশালের মেয়র হয়েছিলেন তিনিই।

সাদিকের বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের দলীয় প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।

২০২৩ সালে বরিশালের সিটি নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সরিয়ে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় তার ছোট চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে (খোকন সেরনিয়াবাত)। তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন।

এরপর চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্ব নিয়ে সারা দেশে আলোচনা তৈরি হয়। ওই সিটি নির্বাচনে বর্তমান এমপি জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা সার্বক্ষণিক আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পাশে ছিলেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net